বুদ্ধপূর্ণিমার শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষ

বৌদ্ধধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি শোভাযাত্রা হয়। ছবি: আব্বাস হোসাইন
বৌদ্ধধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি শোভাযাত্রা হয়। ছবি: আব্বাস হোসাইন

বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি শোভাযাত্রা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শোভাযাত্রাটি হাজারো বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর অংশগ্রহণে উপজেলার সৈয়দবাড়ি কেন্দ্রীয় ধর্মচক্র বৌদ্ধবিহার থেকে শুরু হয়। উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এটি।

সমাবেশে রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি বিমলজ্যোতি মহাস্থবির বলেন, ‘আমরা জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা শুনেছিলাম। বুদ্ধপূর্ণিমা পালনে কিছুটা উৎকণ্ঠা থাকলেও বিহারে দায়ক-দায়িকাদের উপস্থিতি ছিল প্রচুর। শোভাযাত্রায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমঙ্গল মহাস্থবির, বৌদ্ধধর্মীয় নেতা দ্বীপানন্দ থের, সত্যানন্দ থের, উদ্‌যাপন পরিষদের সহসভাপতি মনিলাল তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক জয় বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা সুশান্ত বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া প্রমুখ।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে উপজেলার ৮৫ বৌদ্ধবিহারে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি শোভাযাত্রায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছবি: আব্বাস হোসাইন
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি শোভাযাত্রায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছবি: আব্বাস হোসাইন

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঞা বলেন, ‘প্রতিটি বিহারে পুলিশ সজাগ ছিল। টহলের পাশাপাশি বিশেষ বিহারগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ার ৮৫ বৌদ্ধবিহারে প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি ছিল। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল প্রশাসন।