অনলাইনকে শৃঙ্খলায় আনার কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ

অনলাইন পত্রিকাগুলো নীতিমালার আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে কেউ একটা অনলাইন খুলে বসল, সে আর পাঁচজনকে কার্ড দিচ্ছে, এভাবে চলতে পারে না। তাদের অনেকের কারণে পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অনলাইনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা দরকার এবং সেটার কাজ শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও তথ্য অধিকার আইন অবহিতকরণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিগগিরই নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অনলাইন নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আমরা কাজ করছি। দ্রুত নীতিমালার আওতায় আসবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আইনজীবীদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা ছিল। কিন্তু আইনজীবী সমিতিগুলো এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বার-এট-ল শেষ করেছে, কিন্তু অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না। আইনজীবীদের সংগঠন যেভাবে এ ব্যাপারে কঠোর আছে, সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোর ভেতর থেকেও এটা আসতে হবে। তখন রাষ্ট্র এবং সরকার সহযোগিতা করবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে স্বপ্নের রাষ্ট্র গড়তে চাই, সেটার জন্য উন্নত জাতি প্রয়োজন। এই উন্নত জাতি গঠনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন গণমাধ্যমের ভূমিকা।’

অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিককে সাংঘাতিক বলা আর শুনতে চাই না। রাস্তাঘাটে যে কেউ সামনে এসে বলবে, আমি সাংবাদিক, এটা আর চাই না। থানা লেভেলে যারা কাজ করে, তাদের তো মানুষ ভয় পায়।’

প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, অনলাইন আইন খুবই জরুরি। এটা এখন যেভাবে চলছে লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্রের মতো। লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র কিন্তু যে কারও দিকে তাক হতে পারে।

প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, কারও ইচ্ছে হলো, অনলাইন খুলে নিজেকে সম্পাদক-সাংবাদিক দাবি করবে, এটা চলতে পারে না।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো.শাহ আলমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।