বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হতে মান্নাকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোটামুটি নিশ্চিত হলেও এখনো প্রার্থী ঠিক হয়নি বিএনপির। সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বগুড়ার নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার জন্য নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু মান্না সে প্রস্তাবে রাজি হননি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় জাতীয় সংসদের বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য হয়। আগামী ২৪ জুন এ আসনে নির্বাচন। এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন হচ্ছে ২০ মে। দুটিতে একাধিক প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে।

কথা বলে জানা গেছে, বগুড়ার আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না ও জি এম সিরাজের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে মান্না বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাঁর আপত্তি নেই। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মান্না বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান।

মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম তাঁকে জানান লন্ডন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি বগুড়ায় নির্বাচন করবেন কি না। ক​রলে বিএনপির হয়ে করতে। তখন আমি জানতে চাই, আমাদের হয়ে মানে কী, বি​এনপিতে যোগ দিয়ে? জবাবে ফখরুল সহাস্যে বলেন, এর মানে তো তা–ই হয়।’

>

মান্না বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী নন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে মান্নার আপত্তি নেই

জানা গেছে, মান্না বিএনপির মহাসচিবকে বলেছেন ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব পেলে তিনি বাকি শরিক দল জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ আসনটিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করে একাধিকবার জয়ী হয়েছে​ন। তাই নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নির্ভর করছে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর।

মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) প্রস্তাবে আমি অবাক হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার দলেও আলোচনা করিনি।’

আর জি এম সিরাজ নিজে থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী কি না, তা পরিষ্কার নয়। তবে তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বগুড়ার নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা যদি আমাকে প্রার্থী হিসেবে চান, তাঁদের প্রতি আমি নিশ্চয়ই সম্মান দেখাব।’
এদিকে সংরক্ষিত আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমীন ফারহানার নাম আলোচনায় আছে। তবে সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে সেলিমা রহমানের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।