নূর হোসেনের আদালতে হাজিরা, সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

নূর হোসেন
নূর হোসেন

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্রসহ আট মামলায় রোববার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তবে এ দিন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নূর হোসেনকে হাজির করা হয়। সাক্ষীরা না আসায় আদালত আগামী ১৯ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

আট মামলায় নূর হোসেন ছাড়াও নূর হোসেনের বড় ভাই নূর উদ্দিন, ভাতিজা শাহ্জালাল বাদলসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নূর হোসেনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে আবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে ফের তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ায় হয়। এ সময় আদালত এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

নূর হোসেনের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আটটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নূর হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য থাকলেও সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়েছে। আদালত আগামী ১৯ আগস্ট মামলাগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ৯টায় নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন কারাগারে বন্দী রয়েছেন।