জয়পুরহাটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি দাবি

পঞ্চগড়-ঢাকা বিরতিহীন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে থামার দাবিতে আজ শহরে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
পঞ্চগড়-ঢাকা বিরতিহীন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে থামার দাবিতে আজ শহরে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

পঞ্চগড়-ঢাকা বিরতিহীন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে থামার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে পৌরশহরে। ২৫ মে থেকে এই ট্রেন চালু হচ্ছে। মানববন্ধন শেষে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ট্রেন থামার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট নাগরিক সমাজের ব্যানারে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরের প্রধান সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে নাগরিক সমাজের পক্ষে বক্তব্য দেন নাগরিক সমাজ কমিটির আহ্বায়ক ও জয়পুরহাট জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল হাকিম মণ্ডল, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, ইমতিয়াজ আহম্মেদ, গোলজার হোসেন, বদিউজ্জামান, ওবায়দুল্লাহ মুসা, আবদুর রশিদ, শ্যামল সাহা, আমেজ উদ্দীন, সামিউল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জয়পুরহাট একটি জেলাশহর। এ শহর থেকে বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী ঢাকা যাতায়াত করেন। পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর স্থলবন্দর, নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর (বৌদ্ধবিহার), জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজ ও চিনিকলের কারণে দেশি–বিদেশি পর্যটক জয়পুরহাটে আসেন। জেলাশহর হিসেবে ওই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাটে পাঁচ মিনিটের বিরতির দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। ট্রেনটির যাত্রাবিরতি না দিলে ওই মানববন্ধন থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলা হয়।

২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে পঞ্চগড় ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকাগামী ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পার্বতীপুর রেলস্টেশনে থামবে। দুপুর সোয়া ১২টায় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে সরাসরি ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। সেখান থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে থামবে। ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ছেড়ে পঞ্চগড় রওনা হবে।