শ্রমিক বরখাস্তের ঘটনায় পাত্রখোলা চা-বাগানে কর্মবিরতি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পাত্রখোলা চা-বাগানের এক শ্রমিককে বরখাস্ত করা নিয়ে সেখানে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

বরখাস্তকে অন্যায় দাবি করে আজ সোমবার সকাল আটটা থেকে হাজারো শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় দুই দল শ্রমিকের সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিকসহ দুজন আহত হন।

দীর্ঘ তিন ঘণ্টা আলোচনার পর উপজেলা সদরে সামাজিক বৈঠকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে উত্তেজনার নিরসন হলেও চা-শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি।

বরখাস্ত হওয়া চা-শ্রমিক হলেন সুজন অলমিক।

সংঘর্ষে আহত দুজন হলেন সরস্বতী মহালী (৪৫) ও প্রতাপ গড় (৪৩)। তাঁদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চল) কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে পাত্রখোলা চা-বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান শ্রমিক সুজন অলমিককে বরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী বরখাস্তপত্র প্রত্যাহার করে সুজনকে কাজে যোগদানের সুযোগ দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে সাধারণ চা-শ্রমিকেরাও সুজনকে আবার কাজে ফিরিয়ে নিতে দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক কোনো সাড়া দেননি। এ কারণে আজ সকাল আটটা থেকে চা-বাগানের নিবন্ধিত ১ হাজার ৮৬৭ জন শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ফটক বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।

চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন ও পরবর্তী সময়ে সামাজিক সমঝোতার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাত্রখোলা চা-বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী রোববার উপজেলা সদরে বসেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে বাগান ব্যবস্থাপনা পক্ষ এবং চা-শ্রমিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছা গেছে। রোববার কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বসে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

সামাজিক সমঝোতার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক সুধীন চন্দ্র দাশসহ চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।