নীলফামারীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ১

নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নীলফামারী জেলা শহর থেকে নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া নূর মোহাম্মদ ফেনী জেলা সদরের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সেকেন্দার সুফির ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৪ সাল থেকে নূর মোহাম্মদ নীলফামারী জেলা শহরের সওদাগর পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। শহরের বড় বাজারে তাঁর কসমেটিকসের ব্যবসা রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নূরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ওই অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে রাজাকার তোফাজ্জল হোসেন তদু, রাজাকার মো. আবু ইউসুফ ও রাজাকার নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমেদ ফেনী জেলা সদরের উত্তর গোবিন্দপুরের শামছুল হক, আবদুল হক, মজিবুল হক ও আবদুর রউফকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। এরপর কালীদহ বড়দাহ প্রসন্নরায় জমিদার বাড়ির রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে ওই ব্যক্তিদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালান। এ ছাড়া, ওই দিন রাত একটার দিকে নূর মোহাম্মদসহ বাকিরা উত্তর গোবিন্দপুরের শহীদ আবদুল ওহাবের বাড়িতে আসেন এবং ওহাবকে আটক করে বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করেন।

নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজালুল ইসলাম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সোমবার সকালে আমাদের হাতে আসে। ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গোয়েন্দা পুলিশ দুপুরে নূরকে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।’

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন নূরকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’