পদবঞ্চিতদের ওপর হামলায় ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ফাইল ছবি
নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। এর মধ্যে একজনকে স্থায়ী ও চারজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এ ছাড়া ওই ঘটনায় অপর দুজনের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সালমান সাদিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য কাজী সিয়াম, একই শাখার আরেক কর্মী সাজ্জাদুল কবির ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জারিন দিয়া।

কারণ দর্শানো নোটিশ পাওয়া দুজন হলেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তার ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান শান্ত।

এদিকে বহিষ্কারের বিষয়টিকে ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পদবঞ্চিত অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্তের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা আশা করব, আমাদের যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেসব যেন এই তদন্তের মতো না হয়ে বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য হয়।’

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া জারিন দিয়ার বিষয়ে সাঈফ বাবু অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে জারিনকে বহিষ্কার করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দাবি করেছেন, ‘শতভাগ সঠিকভাবে’ তদন্তের পরেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।’

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর গত ১৩ মে ঘোষণা করা হয় সংগঠনের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। মধুর ক্যানটিনের সেই ঘটনা তদন্তে ১৪ মে তিন সদস্যের কমিটি করে ছাত্রলীগ। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সেই কমিটি গত শনিবার রাতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

আরও পড়ুন...