৭ হাজার লোকের জন্য মেয়রের ইফতার আয়োজন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের রান্নার কাজ চলছে। ছবিটি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের রান্নার কাজ চলছে। ছবিটি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

পাঁচ হাজার দাওয়াত কার্ড ছাপিয়ে পৌর এলাকার বাড়ি-বাড়ি ও ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও দুই হাজার লোকের জন্য আয়োজন থাকছে। সব মিলিয়ে স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে সাত হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেজের প্রধান ফটকের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সবই করা হয়েছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ওরফে অবসর আয়োজিত আজ মঙ্গলবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিল উপলক্ষে।

খাবারের তালিকায় আছে বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, শরবত, সালাদ, মুড়ি, ছোলা, খেজুরসহ নানা পদের খাবার।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান (এমআর) ডিগ্রি কলেজ মাঠে আজ এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও। এই ইফতার আয়োজন নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান (এমআর) ডিগ্রি কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের প্রধান ফটকে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। কলেজের ফটক থেকে পূর্ব দিকে সড়কের দুই পাশে লাল-নীল-হলুদ রঙের পতাকা টাঙানো হয়েছে। কলেজের ভেতর ঢুকে দেখা গেল, মাঠের দক্ষিণ পাশে ছয়টি চুলায় রান্নাবান্নার কাজ চলছে। মেয়র ও পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সেগুলো তদারক করছেন।

পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডের অন্তত ৫০-৬০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়রের ইফতার ও দোয়া মাহফিলের দাওয়াত পেয়েছেন তাঁরা। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত কার্ড দিয়ে গেছেন।

আক্কেলপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসনাতুজ্জামান বলেন, ‘মেয়র সাহেব ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন। আমরা দলীয় নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করছি। পৌর এলাকার পাঁচ হাজার লোককে দাওয়াত কার্ড দেওয়া হয়েছে।’

মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। পাঁচ হাজার লোককে দাওয়াত কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও দুই হাজার লোকের আয়োজন রাখা হয়েছে। আমি সবার মেয়র। তাই দলীয় বিবেচনায় কাউকে দাওয়াত করা হয়নি।’ এত বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন আগে কখনো হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।