শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিতর্ক হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ, যোগ্য ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের মনোনীত করার সুপারিশ করেছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করার বিষয়টি আলোচনায় তোলেন। পরে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হয়। কমিটির অন্তত দুজন সদস্য এর বিরোধিতা করে বলেন, সাংসদ হতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। এখানে এ ধরনের শর্ত যুক্ত করা ঠিক হবে না। তবে অন্য একজন সদস্য বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। যাঁরা এর পরিচালনায় থাকবেন, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য এম এ মতিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রস্তাবটি বৈঠকে উঠেছিল। সদস্যদের অনেকে এটা সমর্থন করেছেন। কেউ কেউ ভিন্নমতও দিয়েছেন। এটা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এটা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি মনে করেন, অন্ততপক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া প্রয়োজন।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে স্কাউটিং কার্যক্রম জোরদার করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার সুপারিশ করে। কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী, আবদুল কুদ্দুস, এ কে এম শাহাজাহান কামাল, এম এ মতিন ও গোলাম কিবরিয়া বৈঠকে অংশ নেন।