৪০ লাখ টাকার সোনা আত্মসাৎ, ৩ পুলিশ সদস্য কারাগারে

যশোরের শার্শা উপজেলায় সোনা চোরাকারবারিদের কাছ থেকে আটটি সোনার বার ছিনিয়ে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ওই তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

শার্শা থানা-পুলিশ জানায়, আত্মসাৎ করা সোনার বারগুলোর ওজন ৮৫ ভরি ১১ আনা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

কারাগারে পাঠানো পুলিশ সদস্যরা হলেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তবিবর রহমান (৩২), রঞ্জন কুমার মৈত্র (৩৭) ও কনস্টেবল তুষার সরকার (২৮)। শার্শা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত রোববার সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকায় দুই চোরাকারবারির কাছ থেকে আটটি সোনার বার জব্দ করে পুলিশ। সোনার বারগুলো জব্দ করে দুই চোরাকারবারিকে ছেড়ে দেন ওই তিন পুলিশ সদস্য। সে দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন পুলিশ সদস্যকে শার্শা থানায় ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা সোনা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। এরপর এএসআই তবিবর রহমান তাঁর প্যান্টের ভেতর থেকে স্কচটেপ দিয়ে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো সোনার বারগুলো বের করে দেন।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের তিন সদস্য দুজন সোনা চোরাকারবারিকে মারধর করে তাঁদের কাছ থেকে আটটি সোনার বার ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেন। উদ্ধার করা সোনা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরাই হজম করে ফেলেন। পরে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় দস্যুতার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাঁদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই দুজন সোনা চোরাকারবারির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।’