টেকনাফে এক্স-রেতে পেটের ভেতর মিলল ইয়াবা বড়ি, ৩ রোহিঙ্গা নারী গ্রেপ্তার

পেটের ভেতর ইয়াবা ঢুকিয়ে পাচারের সময় গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা নারী। ছবি: প্রথম আলো
পেটের ভেতর ইয়াবা ঢুকিয়ে পাচারের সময় গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা নারী। ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশি নারী সেজে পেটের ভেতর ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে পাচারের সময় তিন রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা নারী হলেন নূর হাওয়া (৩৫), জরিনা খাতুন (৩৫) ও সেতারা বেগম (৩০)। তাঁরা তিনজনই টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে থাকেন। গ্রেপ্তারের পর এক্স-রে করে এই তিনজনের পেটের ভেতর থেকে ৩ হাজার ১৫০টি ইয়াবা ও তিনটি বাংলাদেশি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, কয়েক জন নারী পেটের ভেতরে ইয়াবা বহন করছেন এমন তথ্য পেয়ে সোমবার রাত আটটার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি তল্লাশিচৌকিতে তল্লাশি চালানো হয়। টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি বাসের কয়েকজন নারী যাত্রীকে সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির নারী সদস্যদের মাধ্যমে তাঁদের তল্লাশি করা হয়। এরপর সন্দেহভাজন তিন নারীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে এক্স-রে করা হলে পেটের ভেতর টেপ মোড়ানো অবস্থায় ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিন নারী বিষয়টি স্বীকার করেন।

রোহিঙ্গা নারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা তিনটি ভুয়া বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। ছবি: প্রথম আলো
রোহিঙ্গা নারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা তিনটি ভুয়া বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। ছবি: প্রথম আলো

গ্রেপ্তার ওই তিন নারী জানান, পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা বড়িগুলো কলার ভেতরে ঢুকিয়ে তা গিলে খেয়ে পাচার করছিলেন তাঁরা। বাংলাদেশি নারী সেজে ইয়াবা পাচার করতে তাঁরা ভুয়া পরিচয়পত্রও তৈরি করেছিলেন।

গ্রেপ্তার ওই তিন রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।