হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও, দত্তক নিলেন পুলিশ সদস্য

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নবজাতককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখে পালিয়ে গেছেন এক দম্পতি। গত শুক্রবার নবজাতকের মামা-মামি পরিচয়ে শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করানোর পর তাঁরা পালিয়ে যান। পরে আদালত পুলিশের এক সদস্য নবজাতকটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করলে মঙ্গলবার আদালত তা মঞ্জুর করেন।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে নবজাতকটির মামা-মামি পরিচয়ে এক দম্পতি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় হাসপাতালের নথিতে নবজাতকের বাবার শিমুল আহমদ ও মায়ের নাম আয়শা বেগম লেখা হয়। নবজাতকটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করানোর পর ওষুধ আনার কথা বলে ওই দম্পতি বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। পরে অভিভাবকবিহীন অসুস্থ নবজাতকটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে থাকা পুলিশ সদস্য এবং হাসপাতালের নার্সরা।

ওসমানী হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ওমর ফারুক জানান, ভর্তির সময় উল্লেখ করা ঠিকানা অনুযায়ী সন্ধান করেও নবজাতকের পরিবারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শিশুটি সুস্থ হলে আজ মঙ্গলবার সকালে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর শিশুটির দেখভাল-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ সময় আদালত পুলিশের এক সদস্য শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আবেদন জানালে শিশুটিকে তাঁর জিম্মায় দেওয়া হয়।

দত্তক নেওয়া কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল রবিউল আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১১ সালে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো করে লালন-পালন করবেন।