ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গরমিল, ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে অসামঞ্জস্য থাকায় তা তদন্ত করে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সীমাকে গণধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে ওই মামলা করেছিলেন সীমার মা শীলা আক্তার। গত বছরের ২৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর মা। দানেশ চৌকিদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত করেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড। ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন দানেশ চৌকিদার। এ জামিন আবেদনের শুনানিতে নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে অসামঞ্জস্য পেলে আদালত ৭ মে এক আদেশে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে ২২ মে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

এ নির্দেশ অনুসারে আজ বুধবার পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন শাহ মোজাহেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানি নিয়ে আদালত দানেশ চৌকিদারের জামিন আবেদন খারিজ করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওই আদেশ দেন। আদালতে দানেশ চৌকিদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তুষার বণিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বর্ণনায় চারটি ক্ষতের কথা উল্লেখ আছে। অথচ মন্তব্য অংশে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে, যা দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে গরমিল থাকায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসা বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।