টেকনাফের ইয়াবা কারবারি আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

টেকনাফের ইয়াবা কারবারি মো. আমিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে আমিনের স্ত্রী নাইমা বেগম ও আরেক ইয়াবা কারবারি মো. আলমের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিচ্ছে সংস্থাটি। আজ বুধবার কমিশনের সভায় এসব সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ইয়াবা ব্যবসা বা মাদকসংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। তাই এসব অভিযোগ সরাসরি অনুসন্ধান করতে পারে না সংস্থাটি। সে কারণে সম্পদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে এসব অপরাধীকে ধরতে বেশ আগেই মাঠে নেমেছে দুদক।

সূত্র আরও জানায়, গত বছর মো. আমিনের সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২০ জুন তিনি সম্পদ বিবরণী জমা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দুদক দেখেছে, ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এ ছাড়া ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

মো. আমিন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার মো. আলীর ছেলে। তিনিসহ তাঁর ভাই নুরুল আমিন ও আবদুল আমিনের নাম মানব পাচারের ক্ষেত্রে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের নামের তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে। আবার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায়ও তাঁদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে দুই ভাই নুরুল আমিন ও আবদুল আমিন ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছেন।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আমিনের স্ত্রী নাইমা বেগম একজন গৃহিণী। তাঁর আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও তিনিও বিপুল সম্পদের মালিক বলে দুদক তথ্য পেয়েছে। সে কারণে নাইমার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। শিগগিরই এ নোটিশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে কক্সবাজারের আরেক ইয়াবা কারবারি মো. আলমের বিরুদ্ধেও সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।