বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনলেন রাজশাহীর ডিসি

বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের। পবা, রাজশাহী, ২২ মে। ছবি: শহীদুল ইসলাম
বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের। পবা, রাজশাহী, ২২ মে। ছবি: শহীদুল ইসলাম

গ্রামে গিয়ে সরাসরি কৃষকের থেকে সরকারি মূল্যে ধান কিনলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আবদুল কাদের। আজ বুধবার দুপুরে জেলার পবা উপজেলার নওহাটার মধুসূদনপুর মহল্লায় গিয়ে ধান কেনেন তিনি। তবে কৃষকদের ধানে কিছুটা আর্দ্রতা থাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওই ধান পবা খাদ্যগুদামে নেওয়া হবে।

পবার মধুসূদনপুর গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ২০ মণ ধান বিক্রির চুক্তি করেছেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে তিনি ধানের দাম পাচ্ছেন। ধানের এমন মূল্য পেলে কৃষকেরা উপকৃত হবে।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আওয়াল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিক্রির জন্য ২০ মণ ধান নিয়ে এসেছিলেন। ধানে কিছুটা আর্দ্রতা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। তবে তাঁর ধান কেনার কথা পাকা হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার খাদ্যগুদামে কৃষি কার্ডসহ ধান নিতে বলা হয়েছে। আওয়াল বলেন, তিনি আগে কখনো খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির সুযোগ পাননি। সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে তিনিও খুশি।

পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ বলেন, কৃষকেরা সরকারি মূল্যে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না, এমন খবরের ভিত্তিতে রাজশাহীর ডিসি যেকোনো উপায়ে ধান কেনাবেচায় কৃষকদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে ডিসি এস এম আবদুল কাদের জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নাজমুল হোসেন ভূইয়াকে সঙ্গে নিয়ে নওহাটা পৌরসভার মধুসূদনপুর গ্রামে যান। সেখানে তিনজন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আড়াই মেট্রিক টন ধান কেনা হয়।

জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। তিনি ও তাঁর কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করবেন। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আজ প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কৃষি কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যাংকে তাগিদ দেওয়া হবে।’

পবা উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা নাসরিন বলেন, তাঁরা এক টন ধান কিনেছেন। কৃষকদের সঙ্গে আর দুই টনের চুক্তি করেছেন। কৃষকের ধানে একটু আর্দ্রতা রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কৃষকদের পবা খাদ্যগুদামে ধান নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ধান নিয়ে কৃষকদের সরাসরি খাদ্যগুদামে আসার জন্য তাঁরা মাইকিং করেছেন। কৃষকেরা যাতে সহজেই ধান বিক্রি করতে পারেন, এ জন্য খাদ্যগুদামের ধান কেনার আনুষ্ঠানিকতাও সহজ করা হয়েছে।