মাদক মামলায় বন্দীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের সুপারিশ

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

মাদক সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য কারাগারগুলোতে আলাদা ওয়ার্ড করতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেখে কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু প্রথম আলোকে বলেন, মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এবং সাজাপ্রাপ্তদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার অনুশাসন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাদের কার্যক্রম হাতে নেবে। কমিটি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে বলেছে। এসব বিষয়ে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন কারাগারে মাদক মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ২৪ হাজার ব্যক্তি আছেন। জেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কারাবন্দী মাদকাসক্তদের কাউন্সেলিং করানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কবি হেনরী স্বপনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ও ফেনীতে নুসরাত হত্যার বিষয়ও আলোচনায় আসে। একজন সাংসদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ ধরনের গ্রেপ্তারে সমালোচনা বাড়ে। সাধারণ মানুষ ব্যথিত হয়। জবাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার ছিল না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নুসরাত হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ বলেছে, এ বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈঠকে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ও চাঁদাবাজি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়।

শামসুল হক বলেন, ঈদ সামনে রেখে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবু সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত ও সতর্ক আছে।
শামসুল হকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, হাবিবর রহমান, ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান ও নূর মোহাম্মদ বৈঠকে অংশ নেন।