পৌনে দুই বছরেও শেষ হয়নি

নড়াইলের লোহাগড়ার মাইটকুমড়ার এই সড়কটি বেহাল।  প্রথম আলো
নড়াইলের লোহাগড়ার মাইটকুমড়ার এই সড়কটি বেহাল। প্রথম আলো

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার মাইটকুমড়ায় আধা কিলোমিটার একটি সড়ক পাকা করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল গত বছরের ২০ মার্চ। ওই কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে আশপাশের ছয় গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তাদের অবহেলায় কাজটি শেষ হচ্ছে না। কাজ করতে গিয়ে রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় ওই এলাকার ছয়টি গ্রামের মানুষ ওই সড়কে চলতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের মাইটকুমড়ার আমতলা থেকে দক্ষিণ দিকে জাহিদুল শেখের বাড়ি পর্যন্ত। ৫৩০ মিটার (আধা কিলোমিটার) সড়ক পাকা করতে ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭২২ টাকা বরাদ্দ হয়। কার্যাদেশ পান ফরিদপুরের ঠিকাদার এ কে এম আকরামুজ্জামান। এলজিইডির এপ্রিল মাসের কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৪০ ভাগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের অর্ধেক অংশে মাটি খুঁড়ে নিচু করে রাখা হয়েছে। বাকি অংশে খোয়া ফেলা হয়েছে। বড় বড় খোয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজার সরদার, জেসমিন বেগম, কুলসুম বেগম, মনোয়ারা বেগমসহ অন্তত ২৫ জনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেন, খুঁড়ে রাখা অংশে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে। তাই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সড়কটি ছিল ইট বিছানো। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ইট তুলে ফেলেন ঠিকাদার। তখন থেকে খুঁড়ে রাখায় ও খোয়া ফেলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলু শরীফ জানান, চরকরফা ও ধর্মদেবপাড়া গ্রামের সব মানুষ এবং মহিষাপাড়া, মঙ্গলহাটা, মাইটকুমড়া ও কালনা গ্রামের একাংশের মানুষের লোহাগড়া-নড়াইল প্রধান সড়কে উঠতে এই সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হয়। এর বিকল্প কোনো সড়ক নেই। অথচ বৃষ্টি হলেই প্রায় এক ফুট পানি জমে।

এলজিইডির নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র সমাদ্দার বলেন, ‘ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করতে অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। সেটির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন তাঁর কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে দরপত্র (টেন্ডার) দেওয়া হবে।’