গরমটা কমছে বটে, বাড়বে আবার

সপ্তাহখানেকের তীব্র দাবদাহের পর ১৮ মে থেকে অল্পস্বল্প বৃষ্টি। সঙ্গে কালবৈশাখী। তবু তাপমাত্রা তেমন কমছিল না। বুধবার থেকে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা বাড়ে। সেদিন সকাল ও রাতে দুই দফায় কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি ঝরে। বৃষ্টির এই রেশ তিন দিন ধরে রয়েছে। কাল শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বৃষ্টির প্রভাবে আজ ও কাল তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। শনিবারে পর তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, তিন দিন ধরে সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টির রেশ রয়েছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। এই সময় রাজধানী ঢাকায় সামান্য পরিমাণে বৃষ্টি হয়। রংপুর জেলায় ৩৬, দিনাজপুরে ১৩, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৫, সিলেটে ৩৪, বগুড়ায় ৫, চট্টগ্রামে ১৮ ও নেত্রকোনায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আজ সকাল থেকে সূর্যের প্রখরতা কম। তাই তাপমাত্রাও কমে গেছে। দাবদাহ কেটে গেছে।

গতকাল সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ময়মনসিংহে ছিল ৩১ দশমিক ২, সিলেটে ২৮ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৬, রংপুরে ৩২, খুলনায় ৩৪ দশমিক ৫ ও বরিশালে ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দু-এক জায়গায় দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

রাজধানী ঢাকায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। যা অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হচ্ছে। আজকের দিনটিও এভাবে কাটবে। কাল শনিবারে পর তাপমাত্রা আবার বৃদ্ধি পেতে পারে। ২৬ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত টানা তিন দিন গরম বাড়তে পারে। তবে এ মাসের একেবারে শেষ দিকে বৃষ্টি হতে পারে। এখন যে ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে, সেটি কালবৈশাখীর প্রভাবেই হচ্ছে।