লঞ্চঘাটের শৌচাগারে দুই বোনের লাশ, বাবা আটক

নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকার নতুন লঞ্চঘাটের শৌচাগার থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত আটটায় লঞ্চঘাটের একটি টয়লেটের ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত দুই শিশুর নাম তাইন (১১) ও তায়েবা (৪)। শিশু দুটি সম্পর্কে আপন বোন। তারা মনোহরদী উপজেলার চালাকচরের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিকুলকে আটক করেছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ঘাটে সর্বশেষ লঞ্চটি ভিড়েছে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে। প্রতিদিন সর্বশেষ লঞ্চের যাত্রীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ঘাটের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে ঘাটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী চলে যান। রাতে স্থানীয় লোকজন টয়লেটের ভেতরে দুই শিশুর লাশ দেখতে পান।

পুলিশ বলছে, চার বছরের শিশু তায়েবার লাশের ওপর এগারো বছরের শিশু তাইনের লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। খুব সম্ভবত বস্তার ভেতরে ভরে লাশ দুটো এখানে আনা হয়েছিল। তাই জনবহুল এলাকা হলেও বিষয়টি কারও নজরে পড়েনি। সর্বশেষ লঞ্চের কোনো যাত্রী অথবা বাইরে থেকে কেউ এখানে এনে লাশগুলো ফেলে গেছে। লাশ দুটোর সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। তাদের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটোকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

লঞ্চঘাটের টিসি মো. ফারুক মিয়া জানান, ‘ইফতারের পরে সেখানে তারাবির নামাজ পড়তে আসেন স্থানীয় মুসল্লিরা। তারা সে সময় টয়লেটের ভেতরে বাচ্চা মেয়ে দুটোর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনা আমাকে জানানো হলে আমি পুলিশে খবর দিই। তারপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।’

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মেয়ে দুটোকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অন্য কোথাও হত্যা করে লঞ্চঘাটের একটি টয়লেটের ভেতরে ফেলে রাখা হতে পারে। তদন্তে হত্যার মূল রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু দুটির বাবা শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।