শ্রমিক লীগ আহ্বায়ককে পেটালেন তাহেরপুত্র

লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের বড় ছেলে আফতাব উদ্দিন বিপ্লবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মামুন বাদী হয়ে বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। মামুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়া এন্টারপ্রাইজেরও স্বত্বাধিকারী।

অভিযোগ আনা অন্যরা হলেন পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার জুয়েল, আবদুল মান্নান, কিরন, তানিম, হারুনুর রশিদ, পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের পরান, স্টেডিয়াম রোডের শাহাদাত হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১২ জন। তাঁরা বিপ্লবের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিপ্লব কারামুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ঠিকাদার-ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। গত বুধবার রাতে ঈদের খরচের জন্য ১৪-১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বিপ্লবের লোকজন ঠিকাদার মামুনের পৌরসভার সাহাপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় দাবি করা টাকা দিতে তাঁরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরে যাওয়ার পথে মামুনের শার্টের কলার ধরে বিপ্লব ও আসামিরা তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি প্লাজার নিচে নিয়ে যান। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মামুন সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

এ প্রসঙ্গে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমার কাছে কারও কোনো টাকা পাওনা নেই। ঈদ খরচের জন্য বিপ্লব ১০ লাখ টাকা চাঁদা চান। এটি না দেওয়ায় আমাকে মারধর করা হয়। বিষয়টি আমি এমপি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আফতাব উদ্দিন বিপ্লব বলেন, চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। মামুনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। ঠিকাদারি কাজ কিনে নেওয়ার টাকা তাঁর কাছে পাওনা। ওই টাকার জন্যই নেতা-কর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’