ভাড়া-নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঈদযাত্রায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলপথে টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়োজিত পর্যবেক্ষকদের গত কয়েক দিনব্যাপী নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টার, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন, বিমান বুকিং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ–পরবর্তী এক পর্যালোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।

সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। এতে করে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়বে। গণপরিবহন–সংকটের কারণে ও কম ভাড়ার আশায় নিম্ন আয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হবে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএর মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও যাত্রীদের বাস, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট দ্বিগুণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন গুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তবে বিআরটিএ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা-চট্টগ্রামে কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী নামীদামি ব্রান্ডের বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে দৃশ্যত তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। দেশব্যাপী সব বাস, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলোর ঈদযাত্রায় ভাড়া–নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিআরটিএ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।

আসন্ন ঈদে সারা দেশের সড়ক, রেল ,নৌ ও আকাশপথের যাত্রীসেবা পরিস্থিতি মনিটরিং কার্যক্রম শুরু করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণকারী এই সংগঠন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীসাধারণের অভিযোগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরে ভোগান্তি ও হয়রানি নিরসনের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো। নৌপথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে। রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া রেল সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে ভোগান্তি ও হয়রানি নিরসন করা সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।