যাত্রাবিরতির দাবিতে ১২ মিনিট ট্রেন অবরোধ

জয়পুরহাট রেলস্টেশনে আজ শনিবার ১২ মিনিট অবরোধ করে রাখা হয় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা সীমান্ত এক্সপ্রেস। পঞ্চগড়-ঢাকা বিরতিহীন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের জয়পুরহাটে যাত্রাবিরতির দাবিতে এই অবরোধ করা হয়।

জয়পুরহাটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান এই অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন। আজ বেলা সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। রূপসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা সোয়া ১১টায় রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ১২ মিনিট ধরে অবস্থান নেয় জনতা। এরপর অবস্থান তুলে নিলে ট্রেনটি ১১টা ২৭ মিনিটে জয়পুরহাট থেকে ছেড়ে যায়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল হাকিম মণ্ডল, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হক্কানি, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা উদীচীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ মোশারফ, খেলা ঘরের সংগঠক তবিবর রহমান প্রমুখ।

একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট নাগরিক সমাজের ব্যানারে বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জয়পুরহাট রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা বিরতির দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, জয়পুরহাট জেলা শহর। এখান থেকে বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী ঢাকা যাতায়াত করেন। পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের হিলি হাকিমপুর স্থলবন্দর, নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর (বৌদ্ধ বিহার), জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজ ও চিনিকলের কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটক জয়পুরহাটে আসেন। সার্বিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর কাছে জয়পুরহাটে ট্রেনটির যাত্রা বিরতির দাবি জানান তাঁরা।

জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, জয়পুরহাট জেলা শহর হওয়ায় এখানে ঢাকাগামী দ্রুতযান, নীল সাগর ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা আছে। সে তুলনায় তাঁরা টিকিট পেয়েছেন দ্রুতযানের চেয়ার ৩২টি, এসি চেয়ার ৩টি, এসি ৪টি এবং নন এসি প্রথম শ্রেণি ৪টি, নীল সাগরের চেয়ার ৫০টি, এসি ৬টি এবং এসি বাথ ২টি, একতা চেয়ার ৪০টি ও এসি ৩টি আসনের। ওই সব টিকিটের মধ্যে আবার ৫০ ভাগ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে। জয়পুরহাটে বিপুলসংখ্যক যাত্রীর টিকিটের চাপ আছে।