ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন

ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

ধানসহ সব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে নওগাঁর পত্নীতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়।

‘বাঁচলে কৃষক বাঁচবে দেশ, গড়ব সোনার বাংলাদেশ’এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শনিবার সকাল ১০টায় ‘প্রগতি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ নামের স্থানীয় একটি সংগঠন উপজেলার মধইল বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মধইল বাজার জেলার ধান কেনাবেচার সবচেয়ে বড় বাজার।

মধইল বাজারের স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রগতি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সংগঠনের চেয়ারম্যান আবু হোসেন। বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদুর ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় কৃষক আব্দুল জব্বার, গফুর মণ্ডল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একজন কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষিপণ্য উৎপাদন করে থাকেন। প্রায় প্রতিবছর শ্রমিক খরচ ও কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধানসহ সব কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় কৃষিপণ্যের দাম বাড়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কৃষিপণ্যের দাম উল্টো কমছে। ফলে যেসব মানুষ কেবল কৃষিপণ্য উৎপাদন করে জীবন নির্বাহ করেন, তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাঁদের জীবনমান দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, কৃষকের এই অসহায় অবস্থাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে দেখা উচিত। ধানসহ সব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ধানসহ সব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকদের কাছ ধান কেনারও দাবি জানান বক্তারা।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদুর ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে দরেও যদি কৃষক ধান বিক্রি করতে পারতেন, তাতে কৃষকের কিছুটা লাভ থাকত। কিন্তু বর্তমান বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ৪০০-৫০০ টাকা কম দামে কৃষককে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কৃষকেরা ধান উৎপাদনে উৎসাহ পাবেন না। এতে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, অনেক কিছুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।