খোঁজ মিলছে না গর্ভপাতের সময় নিহত নারীর স্বজনদের

তীব্র ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তির গোয়ালঘরে আশ্রয় নেন মোছা. শিল্পী (২৮)। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর গর্ভে থাকা অপরিপক্ব ভ্রূণের গর্ভপাত হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়ার আগে বলে যাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ওই নারীর বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার নন্দীবাড়ি গ্রামে। নিজের স্বামীর নাম বলেছিলেন সোহেল মিয়া। কিন্তু উল্লিখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করে শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিহত নারীর স্বামী কিংবা কোনো স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে স্বজনদের খোঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়া হলেও কেউ যোগাযোগ করেননি।

শ্রীপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের গোয়ালঘরে অপরিচিত এক নারী শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। এ সময় আশপাশে লোকজন এসে দেখতে পান, তাঁর গর্ভপাত হয়েছে। গর্ভপাতের পর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মইনুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার এক সিএনজিচালক ওই নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যান। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর গর্ভফুল (প্লাসেন্টা) বের হয়নি। গর্ভপাত হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসা শুরু করলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত তাঁর স্বজনদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।