মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার চার উগ্রপন্থী বলছেন, তাঁরা মতিনের অনুসারী

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে চারজন উগ্রপন্থীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১)। তাঁদের সহযোগী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চারজনকে দুই দিন করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন পাবনার সুজানগরের আতিকুর রহমান আতিক (৩৫), ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দুলাল মিয়া (২৩), রংপুর পীরগাছার আল আমীন (২৩) এবং টাঙ্গাইল মধুপুরের মঞ্জুরুল আলম ওরফে লিটন (৩২)।

২৩ মে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ওলিমিয়ারটেক এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। এ ঘটনায় র‍্যাব-১–এর নায়েব সুবেদার ডিএডি মফিজুল হক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী দলের কয়েকজন সদস্য পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় অবস্থান করছেন। তাঁরা গোপন আলোচনা করছেন। তখন র‍্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে কয়েকজন পালিয়ে যান। চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে উগ্রপন্থী বই পাওয়া যায়। ১ নম্বর আসামি আতিকুরের কাছ থেকে ভিআইপি লেখা একটি কাগজ পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তাঁরা মতিন মেহেদীর অনুসারী। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যাসহ সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন সভা করছিলেন।

মামলার এজাহার বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তাঁদের বিধিবদ্ধ কোনো সংগঠন নেই। তাঁরা দেশের বর্তমান নির্বাচন ও ভোটাধিকার ব্যবস্থা বিশ্বাস করেন না। দেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদকে স্বীকার করেন না। প্রচলিত জাকাত ব্যবস্থাকে তাঁরা অস্বীকার করেন। তাঁদের নেতা মতিন মেহেদির বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ ও গাইবান্ধা থানায় একাধিক মামলা আছে। পলাতক ১৮ জনের নাম জানতে পেরেছে র‍্যাব।
মামলার বাদী র‍্যাব-১–এর নায়েব সুবেদার মফিজুল হক শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, র‍্যাব-১ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় এ মামলা করেন।

মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামিরা মতিন মেহেদির অনুসারী। দীর্ঘদিন ধরে এসব আসামি পলাতক আসামিদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য গ্রেপ্তার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আসামিদের কাছ থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণীসংবলিত একটি খাতা জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া একটা মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও আঞ্চলিক বৈঠকের আলোচ্য বিষয়সংবলিত খাতা পাওয়া গেছে।