হত্যার পর স্ত্রীর লাশ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখেন স্বামী

ঢাকার পল্লবীতে কল্পনা খানম নামের এক নারীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর স্বামী। অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম নিলয় পারভেজ মিলন (৩২)।

পল্লবী থানা-পুলিশ সম্প্রতি ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছে, নিলয়ের সঙ্গে কল্পনার বিয়ে হয় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর। কল্পনা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাঁর স্বামী নিলয় একজন গাড়ি চালক। বিয়ের পর পল্লবীতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তাঁরা। নিলয় এবং কল্পনা উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটা। আগের ঘরে কল্পনার একটি ছেলে ছিল। অন্যদিকে নিলয়ের আগের ঘরেও সন্তান আছে। বিয়ের পর কল্পনার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না নিলয়ের। একপর্যায়ে নিলয় তাঁর বন্ধু নাসির ও মানিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে কল্পনাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন ঢাকার আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে কল্পনাদের ভাড়া বাসায় আসেন নিলয়ের বন্ধু নাসির এবং মানিক। বাসায় আসার পর দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। প্রথমে নিলয় তাঁর স্ত্রী কল্পনার গলাটিপে ধরেন। তাঁর বন্ধু নাসির কল্পনার দুই পা চেপে ধরে। আর মানিক চেপে ধরেন কল্পনার দুই হাত। তিনজন মিলে কল্পনাকে হত্যা করার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন।

কল্পনা আক্তারকে হত্যা করার অভিযোগ এনে পল্লবী থানায় মামলা করেন তাঁর মা রেহেনা বেগম।

মামলার এজাহারে রেহেনা বলেন, ঘটনার দিন ১৯ এপ্রিল দুপুরে মেয়ের জামাই নিলয় তাঁকে ফোন দেন। এ সময় রেহেনাকে মাগুরা থেকে ঢাকায় আসতে বলেন নিলয়। মুঠোফোনে নিলয় তাঁকে সেদিন জানিয়েছিলেন, কল্পনার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। নিলয়ের ফোন পেয়ে পরদিন ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসেন রেহেনা বেগম। বাস থেকে গাবতলীতে নামার পর নিলয়কে তিনি ফোন দেন। কিন্তু নিলয়ের ফোন নম্বর বন্ধ পান। পরে তিনি তাঁর মেয়ে কল্পনার ভাড়া বাসায় যান। কল্পনা মারা গেছে তা স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন তিনি। এরপর নিলয়ের বিরুদ্ধে কল্পনাকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন রেহেনা।