বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে হরতাল

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ করে হত্যার প্রতিবাদে ও অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রোববার জেলাব্যাপী অর্ধদিবস শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে সকাল থেকে কোথাও কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল।

সকাল ৬টা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সড়কে অবস্থান নেন। যানবাহন মালিক-শ্রমিকেরা যানবাহন এবং দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখেন। মিছিলে নেতা-কর্মীরা জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। চথোয়াইমংকে অপহরণের পর থেকে জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

হরতাল শেষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, সহসভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবি, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা সহসভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান।

সমাবেশ থেকে চথোয়াইমং মারমার অপহরণকারী সন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেতারা। আগামীকাল সোমবার বিকেলে জেলা ও উপজেলায় চথোয়াইমং মারমার স্মরণে শোকসভা আয়োজন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার চাঁদাবাজি বন্ধ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন বলেন, হরতাল চলাকালে জেলার সাত উপজেলায় কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার রাতে জেলা শহরতলির উজিমুখ হেডম্যানপাড়া এলাকার বাগানবাড়ি থেকে চথোয়াইমং মারমাকে একদল সন্ত্রাসী অপহরণ করে। চথোয়াইমং পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। সন্ত্রাসীরা গহিন জঙ্গলে নিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। গতকাল শনিবার দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ পাওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগ আজ রোববার জেলাব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করে।