দিনাজপুরে জাতীয় বেতন স্কেলের দাবিতে গ্রাম পুলিশের মানববন্ধন

চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। দিনাজপুর, ২৬ মে। ছবি: সংগৃহীত
চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। দিনাজপুর, ২৬ মে। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরে চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

মানববন্ধন শেষে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বজলুর রশিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।

এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন দিনাজপুর শাখার সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা শাহরিয়ার হিরু, সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল আনাম, সহসভাপতি আবদুল ওয়াহেদ প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘গ্রামীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ রাত-দিন প্রায় ৭০ রকম কাজের দায়িত্ব পালন করি আমরা। বিনিময়ে মাসিক যে থোক বরাদ্দ আমার পাই, তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে ছেলেমেয়েদের নিয়ে অতি কষ্টের দিন যাপন করছি। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও গ্রাম পুলিশদের জন্য আজ অবধি কোনো বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হয়নি।’

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘আমরা নামমাত্র সরকারি কর্মচারী। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আমরা পাই না। অথচ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মতো ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে হয় আমাদের। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অবিলম্বে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’

প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে ৪৬ হাজার ৮৭০ জন গ্রাম পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে গ্রাম পুলিশ চাকরির যে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়, সেখানে চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেল ও অবসরকালীন ভাতাসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়। বিধিমালা মোতাবেক সরকার কর্তৃক গঠিত পে-কমিশন সেই বেতন স্কেল দেওয়ার জন্য সুপারিশও করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি।