পালানোর ৭ দিন পর আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ

কিশোরগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়ার সাত দিন পর অবশেষে সেই আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন মাদক মামলার আসামি মুর্শেদ মিয়া।

রোববার কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মুর্শেদ মিয়া। এ সময় আদালতের বিচারক আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে কিশোরগঞ্জ থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী কুলেশ চন্দ্র নাগ বিষয়টি জানান।

১৯ মে কিশোরগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমের (সিজেএম) আদালত থেকে পুলিশের হেফাজতে থাকা হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যান মুর্শেদ মিয়া। তিনি ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি গ্রামের আক্কাস মিয়া ছেলে। ওই দিন বিকেলে ভৈরব থানায় মাদক আইনে করা একটি মামলায় আদালতে হাজির করার জন্য মুর্শেদ মিয়াকে আনা হয়েছিল। কিন্তু কোর্ট হাজতে নেওয়ার আগেই পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্বিতীয় তলার জিআরও অফিসের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যান তিনি।

এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভৈরব থানার পাঁচ পুলিশ কনস্টেবল মো. নাজিম উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ, মন্তাজ মিয়া, মো. শাহজাহান ও জয়নাল আবেদীনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। পরে গত সাত দিন থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজে তাঁকে ধরতে পারেনি। অবশেষে মুর্শেদ নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন।