বুড়িগঙ্গা তীরের ১৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ফাইল ছবি : প্রথমআলো
ফাইল ছবি : প্রথমআলো

নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি দল।
আজ সোমবার সকাল দশটা থেকে বিকলে চারটা পর্যন্ত কাঁচা,পাকা, আধাপাকাসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন না নিয়ে নদীতে ড্রেজার স্থাপন করে বালু তোলায় একটি ড্রেজার ও পাইপ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের ১৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীরের দাপা ও ফতুল্লা লঞ্চঘাট-সংলগ্ন অবৈধ বালু ব্যবসার জন্য স্তূপ করে রাখা বালু ও ইট নিলামে তুলে প্রায় ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক খান, উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, নুর হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসারের উপস্থিতিতে বিআইডব্লিউটিএর দুটি ভেকু উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়।

বিআইডব্লিউটিএর সদরঘাট নদীবন্দরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে দুই দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল রোববার সকাল থেকে পাগলা আলীগঞ্জ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাঁচা, পাকা, আধাপাকাসহ প্রায় ১০৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ফতুল্লার লঞ্চঘাট সংলগ্ন কয়েকটি বালু গদির সাদা ও লাল বালু নিলামে তুলে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। আজ দাপা এলাকায় ওয়াকওয়ের ভেতরে প্রবেশ করে একটি তিনতলা ভবনের একাংশ, একটি দ্বিতল ভবনের একাংশসহ কাঁচা-পাকা টিনশেড, বাঁশের জেটিসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নদীতে বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন না নিয়ে ড্রেজার স্থাপন করে বালু নেওয়ার কারণে একটি ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দাপা এলাকায় নদীর তীর দখল করে বালুর ব্যবসা করার কারণে কয়েকটি বালু ও ইটের গদি নিলামে তুলে ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ডাইং কারখানার দূষিত পানি এসে নদীদূষণ করার কারণে পানির প্রবেশ মুখে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পাগলা থেকে দাপা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত দুই দিনে বুড়িগঙ্গা নদীর বিআইডব্লিউটিএর নির্মাণাধীন ওয়াকওয়ের ভেতরে ঢুকে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই নদীর তীরের অবৈধ দখলদারদের দখলের মাত্রা খুব বেশি।এখানে বেশ কয়েকটি নদী দূষণকারী ডাইং কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি নদীতে পড়তে দেখে ওই ডাইং কারাখানার এক কর্মচারীকে ডেকে আনা হয়েছে।