কেবল এক বেলার জন্য দখলমুক্ত

উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়রের আগমন উপলক্ষে রাস্তা–ফুটপাত দখল করে রাখা ভ্যানগাড়িগুলো একটি খালি প্লটে সরিয়ে রাখা হয়। গতকাল দুপুরে।  প্রথম আলো
উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়রের আগমন উপলক্ষে রাস্তা–ফুটপাত দখল করে রাখা ভ্যানগাড়িগুলো একটি খালি প্লটে সরিয়ে রাখা হয়। গতকাল দুপুরে। প্রথম আলো

মেয়র আসবেন ওই রাস্তায়। তাই সরানো হলো সব অবৈধ দখল। ফুটপাত, রাস্তা, সড়ক বিভাজক যেখানে যে জায়গায় অবৈধ দখল, সব পরিষ্কার করা হলো। পুরোটা বদলে গেল ওই সড়কের চিত্র।

উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন উপলক্ষে অবৈধ দখলে থাকা রবীন্দ্র সরণির চিত্র এভাবেই বদলে গিয়েছিল গতকাল সোমবার। তবে সেটা ছিল মাত্র এক বেলার জন্য। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা চলে যেতেই রাস্তার অবৈধ দখলদার আর ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা আবার ফিরে আসেন তাঁদের দখলকৃত জায়গায়। এতে পূর্বের মতোই দখলে চলে যায় রবীন্দ্র সরণি। সড়কটির ফুটপাত, রাস্তার এক লেন ও মাঝের সড়ক বিভাজক দখলে নিয়ে বসতে থাকে সারি সারি ভ্যানগাড়ি। ওই গাড়িতে নানান ধরনের কাপড়–চোপড় সাজিয়ে বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বটতলা অংশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এবং উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকে অনুষ্ঠান চলাকালীন পুরো সড়কের অবৈধ দখলদারদের সরিয়ে ফেলা হয়। রাস্তায় ভ্যানগাড়ি আর ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো তখন আশপাশের খালি প্লটে অবস্থান করছিল। রাস্তায় তখন শুধু বৈদ্যুতিক বাতির সকেটগুলো ঝুলতে দেখা যায়। কিন্তু দুই মেয়র আর অন্য অতিথিরা যেতেই ভ্যানগাড়িগুলো একটি একটি করে বাইরে আসতে থাকে।

অথচ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী আবদুল হাই ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, মেয়রের আগমন ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই সড়কের শতাধিক ভ্যান রাস্তা থেকে সরে গেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবসার উদ্দিন খানও তাঁর বক্তব্যে ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদে জোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেন।

কিন্তু পরক্ষণেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সরে যাওয়া ভ্যানগাড়িগুলো আবার ফিরতে শুরু করে পূর্বের জায়গাতে। বেলা তিনটার পরেই রবীন্দ্র সরণি আগের মতো দখল হতে দেখা গেছে।

রবীন্দ্র সরণির ৪৩/এ প্লটের পাশে একটি খালি প্লটে ত্রিপল দিয়ে ঢাকনা দেওয়া প্রায় ৪০টি ভ্যানগাড়ি দেখা গেছে।

ওই ভ্যানগুলোর সব কয়টিই রবীন্দ্র সরণির ফুটপাত, রাস্তা আর সড়ক বিভাজক দখল করে বসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশপাশের এ রকম আরও কয়েকটি খালি প্লটে এভাবে রাস্তা থেকে ভ্যানগাড়িগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিদিন প্রায় দুই শ ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বেচাবিক্রি করেন। ভ্যানগাড়ির কারণে সড়কটির ফুটপাত, রাস্তার এক লেন এবং মাঝের সড়ক বিভাজক দখল হয়ে থাকে।