কিশোরীটির পরিবারের সন্ধান এখনো মেলেনি

সেই কিশোরী।  ছবি: প্রথম আলো
সেই কিশোরী। ছবি: প্রথম আলো

১৬ মে কুলিয়ারচর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা কর্মস্থলে ফেরার জন্য বাসে উঠতে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যান। এ সময় তিনি দেখতে পান, এক কিশোরীকে কৌশলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন দুই পরিবহনশ্রমিক। কিন্তু কিশোরী যেতে চাচ্ছিল না। তখন শিক্ষিকা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। এ সময় পরিবহনশ্রমিকেরা কিশোরীকে রেখে সটকে পড়েন। পরিচয় স্পষ্ট করতে না পারলেও নিজের নাম বৃষ্টি বলে জানিয়েছে। বাড়ি ভৈরব। তবে ভৈরবের কোন এলাকায় বাড়ি, এর কিছুই বলতে পারেনি সে। ভৈরব বলার কারণে শিক্ষিকা কিশোরীকে সঙ্গে করে ভৈরব পর্যন্ত নিয়ে আসেন। বাসস্ট্যান্ডে নামার পর মেয়রের কাছে যান এবং বিষয়টি মেয়রকে জানান। মেয়র মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন।

গতকাল সোমবার মেয়রের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মেয়েটিকে রাখা হয়েছে ফখরুল আলমের এক ভাইয়ের মেয়ের হেফাজতে। মেয়েটি খুবই ধীরে কথা বলে। বাবার নাম সমশের আলী ও মায়ের নাম শাবনূর বলে জানিয়েছে। বাবা-মা দুজনের কেউ বেঁচে নেই। দুই ভাইবোন আছে। বোনের নাম মীম ও ভাইয়ের নাম সাগর। সাগর মাদ্রাসায় পড়ছে বলে জানায়। কিন্তু কোনোভাবেই বাড়ির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা বলতে পারছে না।

মেয়রের পরিবার জানায়, মেয়েটির খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক। কথাবার্তা বলে। কিন্তু মনে হচ্ছে কী যেন লুকাতে চায়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন, বড় ধরনের মানসিক চাপ থেকে মেয়েটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।

মেয়র ফখরুল আলম বলেন, ‘আমরা এখন মেয়েটির প্রকৃত অভিভাবকের অপেক্ষায় আছি। দেখতে হবে মেয়েটি কেন বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না।’