নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে খালে-বিলে মরছে ব্যাঙ, সাপও

সম্প্রতি টানা ভারী বৃষ্টির কারণে কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে হাওর, খাল, বিল ও ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে নানা জাতের দেশীয় মাছ। এ সুযোগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরসহ খাল, বিল ও জলাশয়গুলো নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে।

এসব কারেন্ট জালে আটকে ছোট-বড় মাছের পাশাপাশি ব্যাঙ, সাপ, কুঁচিয়াসহ জলজ প্রাণী মরছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। খাল-বিলে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্লাবনের পানিতে একশ্রেণির অসাধু মৎস্য আহরণকারীরা দেদারসে হাওর ও জলাশয়জুড়ে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। কেওলার হাওর, মকাবিল, কেছুলুটি, সতীঝিরগ্রাম, ধুপাটিলা, রূপষপুরসহ প্লাবিত পুরো এলাকায় হাজারো কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। জালে আটকে মা মাছ থেকে শুরু করে ছোট–বড় মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুঁচিয়া, কাঁকড়াসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। এ কারণে জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনছে।

স্কুলশিক্ষক জমসেদ আলী, সমাজকর্মী ফটিকুল ইসলাম ও তোয়াবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর এভাবে জলাশয়গুলোয় ঘনঘন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পাতা হলেও মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান ছাড়া আর কিছুই হয় না। তা ছাড়া হাটবাজারে প্রকাশ্যে এসব কারেন্ট জাল বিক্রি করা হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে, ব্যাপক হারে কারেন্ট জাল ও নদীতে বাঁশের অবৈধ খাটি বসা শুরু হচ্ছে।

শমশেরনগর বাজারের রহিম মিয়া বলেন, গত বছর একটি কারেন্ট জাল বিক্রির জন্য কারাভোগ করায় এখন আর বিক্রি করেন না। তবে এখন শমশেরনগর বাজারে অনেকেই কারেন্ট জাল বিক্রি করেন।

জলাবদ্ধতার সুযোগে মাছ শিকারিদের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল নিয়ে নেমে পড়ার তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্লা। তিনি বলেন, কারেন্ট জাল ও বাঁশের খাটির বিষয়ে শিগগির অভিযান শুরু হবে।