পুলিশের চাঁদাবাজির তথ্য চাইলেন কুষ্টিয়ার এসপি

‘পুলিশ চাঁদাবাজি করে এমন তথ্য দেন, জানান। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত। রমজান ও ঈদুল ফিতরে কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন।
পুলিশ সুপার বলেন বলেন,‘ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সেবা দিয়ে পুলিশ কোনো সুবিধা নিতে পারবে না। কুষ্টিয়ার পুলিশ ‘ভিক্ষুক’ না, এসপি ‘ভিক্ষুক’ না। যদি কেউ করে থাকে তবে সেই ভিক্ষুক পুলিশ এই জেলায় থাকতে পারবে না। পুলিশ বিনা মূল্যে সেবা দিয়ে থাকে। পুলিশের সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। শুধুমাত্র পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে ব্যাংকে ২৫০ টাকা জমা নেওয়া হয়। থানায় জিডি বা মামলা করতে কোনো টাকা লাগে না। যদি এ রকম কেউ হয়রানি করে দ্রুত জানান। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। প্রত্যেক বাস ছাড়ার আগে গাড়ির ফিটনেস,চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করে বাস ছাড়া হবে। এতে যদি একটাও জীবন রক্ষা হয় সেটাই লাভ। এ ছাড়া মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট তথ্য (অবৈধ মাল বা মাদক) ছাড়া কোনো বাস-ট্রাক গাড়ি থামানো হবে না।

এসপি ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, সম্মিলিত প্রয়াসের অভাবে কুষ্টিয়া শহরের ইজিবাইকের যানজট দূর করা যাচ্ছে না। তারপরও যানজট নিরসনে ঈদের দুই দিন আগে শহরের সড়কগুলোতে ইজিবাইকের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া ঈদের দিন সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নসিমন–করমিন মহড়া ও দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালানো যাবে না।

ঈদে কোনো শঙ্কা (হামলা) আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কোনো কিছুই উড়াই দেব না। ঈদের দিন পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।’

মাদক কেনা বেচার তথ্য নিয়ে বেশি বেশি প্রতিবেদন পত্রিকায় দেখতে চেয়ে এসপি বলেন, অবৈধ যান নসিমন-করিমন নিয়েও প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদের পর জেলার সব থানাগুলোতে তদারকি বাড়ানো হবে। দুর্নীতিমুক্ত থানা গড়তে যেকোনো কঠোর ব্যবস্থার নেবেন বলে জানান এসপি।
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নুরানী ফেরদৌস দিশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আল বেরুনী (ভেড়ামারা সার্কেল) ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) ফারজানা শরীফ উপস্থিত ছিলেন।