বেনাপোলে পৌর আ.লীগের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের হামলা

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দাবি, কার্যালয়ে হামলা করে কম্পিউটার, এসি মেশিন, আসবাব ২০ লাখ টাকার জিনিসপত্র ভাঙচুর, তছনছ ও লুটপাট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিমসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, যশোরের শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই অংশে বিভক্ত। একাংশের নেতৃত্বে যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন এবং অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। সাংসদ আফিল উদ্দীন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আর আশরাফুল আলম একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আশরাফুলের অনুসারীরা ওঠাবসা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী মুখে কাপড় বেঁধে কার্যালয় ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। সেখানে মেয়র আশরাফুলের কক্ষ তছনছ করা হয়। কার্যালয়ের ভেতরে টাঙানো ছবির ফ্রেম, এসি মেশিন, দুটি কম্পিউটার, একটি ৫২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরার মনিটর, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, ‘পৌর আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাজানো হয়েছিল। সেখানে রমজান মাসে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন দলীয় কর্মী-সমর্থকের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর ও তছনছ করেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙচুরের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।