নুরুলসহ কয়েকজনকে লাঞ্ছনার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন 'রিভিউ' করার সুপারিশ

গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এস এম হল) শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারা ডাকসুর ভিপি নুরুল হকসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ‘রিভিউ’ (পর্যালোচনা) করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড৷ প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের প্রাধ্যক্ষকে আসন্ন ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার দিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে৷

মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সুপারিশ করা হয়েছে৷ এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা বোর্ড৷

এসএম হলের গত ২ এপ্রিলের মারধর ও লাঞ্ছনার ঘটনায় ৩ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল এস এম হল প্রশাসন। পরে ৯ এপ্রিল তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করতে ভিপি নুরুলসহ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আরও এক সপ্তাহ সময় চান উপাচার্য। আন্দোলনকারীরা তাতে রাজিও হন। সেই সময়সীমার প্রায় এক মাস পর ৭ মে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান এস এম হলের সেই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এবং আলোচনায় অংশ নেন। সভা থেকে প্রতিবেদনটিকে আরেকটু পর্যালোচনা করার সুপারিশ আসে। পরে প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে একটি সুপারিশ দেওয়ার জন্য চারজন প্রাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হওয়ার দিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার জন্য ওই চারজন প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।’

প্রক্টর জানান, শৃঙ্খলা বোর্ডের ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে৷ ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ উঠেছিল এবং তা প্রমাণিত হয়েছে৷ এর মধ্যে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে৷