উত্তরা-বারিধারায় আজ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের কারণে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উত্তরার একাংশ, বারিধারার একাংশ এবং জোয়ারসাহারায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ সময় জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে বনানী রেলক্রসিং পর্যন্ত আশপাশের এলাকাতেও গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এসব এলাকায় ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে যুক্ত সব শিল্পকারখানা ও সিএনজির বাণিজ্যিক গ্রাহকদের গ্যাস সংকটে থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

গতকাল মঙ্গলবার তিতাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন পাতালপথ নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সংযোগ বন্ধ থাকবে।

তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এর আগে সোমবার জয়দেবপুর থেকে তুরাগ নদ অতিক্রম করা লাইনটির দুই প্রান্তে ভালভ প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল। সে সময় গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তবে আজ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন পাতালপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজের কারণে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, রমজান মাসে সকালে রান্নার কাজ কম থাকায় বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় লাইনে থাকা গ্যাসেই কাজ চলবে। এ এলাকার গ্যাসের চাপ কম থাকলেও গ্রাহকদের অসুবিধা হবে না। বেলা ৩টার মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে তিনি জানান।

রমজান মাসে আবাসিক এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকলে তা রান্না ও ইফতার তৈরিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। আর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি বা ঘোষণা শোনেননি উত্তরা ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দারা।

উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়ে এলাকায় কোনো মাইকিং শুনিনি। ঘোষণা না শোনায় তিতাসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি সাধারণ বাসিন্দারা ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে পারবে না।’ সকাল থেকেই এ জন্য মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে বলে মনে করছেন তিনি। আর বারিধারা ডিওএইচএসের বাসিন্দা সাব্বির এ খানের সঙ্গে কথা বললে তিনিও এ নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

এর আগেও মিরপুর এলাকায় বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়ে মেট্রোরেলের কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণেও মাঝেমধ্যে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় রাজধানীর লাখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) আশুলিয়া গ্যাস স্টেশনের একটি ভালভ অকেজো হয়ে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়। সে সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সাভার ও এর আশপাশে আশুলিয়া, আমিনবাজার, গাবতলী, মিরপুরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।