বাকেরগঞ্জে ছাত্র হত্যায় একজনের ১৫ বছর কারাদণ্ড

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাজিব মোল্লাকে হত্যা এবং লাশ গুম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাজিব হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে পৃথক দুটি ধারায় ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ আদেশ দেন বিচারক।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব হাওলাদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠির জসিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান মামলার আরজির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আফালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাজিব মোল্লা ওই এলাকার কাঠমিস্ত্রি নজরুল মোল্লার মেজ ছেলে। ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজিব বাউফলে তার নানা বাড়ি বেড়াতে যায়। ওই দিন বিকেলে রাজিব তার নানা বাড়ি থেকে নগদ ২ হাজার ৭০০ টাকা, পিঠা ও আমড়া নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলেও পথিমধ্যে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব আফালকাঠি কানাই সিকদারের বাড়ির সামনের ডোবা থেকে রাজিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই সময় কাউকে সন্দেহ না হওয়ায় স্বজনেরা স্কুলছাত্র রাজিবের মরদেহ দাফন করেন। পরে রাজিবের বাবা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বাকেরগঞ্জ থানায় রাজিব হাওলাদার ও ইমরান হাওলাদারকে আসামি করে মামলা করেন রাজিবের বাবা নজরুল ইসলাম মোল্লা।

২০০৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়কোবাদ তদন্ত শেষে আসামি রাজিব হাওলাদারকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে এবং ইমরানকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।