পুঠিয়ায় শ্বাসরোধের পর শিশুকে গলা কেটে হত্যা, সৎবাবা কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সৎছেলেকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর আমলি আদালত-২ তাঁকে কারাগারে পাঠান। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সেনভাগ এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম রিফাত হোসেন (৭)। তার বাবার বাড়ি নাটোরের একডালা এলাকায়। তবে সে মা ও সৎবাবার সঙ্গে বসবাস করত। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী।

শিশুটির মায়ের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রিফাতের মা বুলবুলি খাতুনের সাত মাস আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেন। পরিবারের একাধিক সদস্যের মন্তব্য, প্রথম স্বামীর সন্তান থাকায় বুলবুলি খাতুন নতুন করে সন্তান নিতে চাননি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ঘটনার দিন তিনি রিফাতকে তরমুজ কিনে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে যান। রিফাতকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। এরপর রাতে তিনি রিফাতকে পুঠিয়া উপজেলার রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের সেনভাগে নিয়ে শ্বাসরোধ করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটেন।

পুলিশ বলছে, ঘটনার দিন রাতে মোহাম্মদ আলী বাড়িতে ফিরলে পরিবারের লোকজন তাঁর কাছে রিফাত কোথায় আছে জানতে চায়। তখন তিনি রিফাতকে দেখেননি বলে দাবি করেন। তবে পরিবারের লোকজনের জোরাজুরিতে রিফাত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে দাবি করেন। এতে তারা মোহাম্মদ আলীকে সন্দেহ করে এবং তাঁকে আটক রেখে থানায় খবর দেয়।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় শিশু রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতের তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।