দেশে ঘণ্টায় দুটি শিশুর মৃত্যু নিউমোনিয়ায়

নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় দুটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। বুধবার এক প্রতিবেদন এমনটি জানায় সংস্থাটি। তবে দেশে গত বিশ বছরে শিশু মৃত্যুর হার ৬৩ শতাংশ কমেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো প্রকাশ করেছে প্রতিবেদনটি। বার্ষিক 'গ্লোবাল চাইল্ডহুড রিপোর্ট ২০১৯ ' প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ শিশু মৃত্যু হ্রাসে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। শিশু মৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অন্যতম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকার পরও গত বছরের ‘ন্যাশনাল সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস রিপোর্ট অফ নিউমোনিয়া’ প্রতিবেদনটি বলছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া এখনো মৃত্যুর প্রধান কারণ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট ১৬ শতাংশ শিশুর এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর মধ্যে মোট ৩০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর জন্য নিউমোনিয়া দায়ী ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক মান্নান বলেন, ২০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে দেশে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্বাস্থ্যবান, সুখী, শিক্ষিত এবং সুরক্ষিত ভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ অনেক বেশি। কিন্তু নিউমোনিয়া মোকাবিলা করা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।

‘গ্লোবাল চাইল্ডহুড রিপোর্ট’ এর ‘অ্যান্ড অফ চাইল্ডহুড ইনডেক্স’ বলছে, ২০০০ সাল থেকে ১৭৬টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশে শিশুদের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে। বর্তমানে বিশ্বে বছরে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়নের কম শিশুর মৃত্যু ঘটছে। ৪৯ মিলিয়নের কম খর্বকায় শিশু জন্মাচ্ছে। ১৩০ মিলিয়নের বেশি শিশু স্কুলে যাচ্ছে। ৯৪ মিলিয়নের কম শিশুশ্রমিক এবং ১১ মিলিয়নের কম মেয়েদের বাল্যবিবাহ হচ্ছে। প্রতি বছর ৩ মিলিয়নের কম মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে মা হচ্ছে। প্রতি বছর ১২ হাজারের কম শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে।