জনসংহতি সমিতির কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হত্যা
হত্যা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় উত্তর ইয়ারিংছড়ি গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) কর্মী স্নেহ কুমার চাকমা (৪২) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে উত্তর ইয়ারিংছড়ি গ্রামে সাংগঠনিক কাজে যাওয়া পথে দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

স্নেহ কুমারের বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায়। এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে। তবে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) তা অস্বীকার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে দীঘিনালা সদর থেকে সাংগঠনিক কাজে উত্তর ইয়ারিংছড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন এমএন লারমার কর্মী স্নেহ কুমার চাকমা ওরফে ভগতাং চাকমা। গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে। পরে গুলি করা হয়। খবর পেয়ে লংগদুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সক্রিয় কর্মী স্নেহ কুমার চাকমা সাংগঠনিক কাজে ইয়ারিংছড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন। গ্রামে পৌঁছানোর আগে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) অস্ত্রধারীরা তাঁকে গুলি করে। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লংগদু উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা ঘটনার দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) দায়ী নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের দায়ী করা হচ্ছে। জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্নেহ কুমার চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে।’

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী স্নেহ কুমার চাকমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।