ফুসফুস রক্ষায় তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি

ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রসংক্রান্ত অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ। আসন্ন বাজেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। 

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা জানায়, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রসংক্রান্ত অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ এবং গোটা বিশ্বে মৃত্যুর ৫টি শীর্ষস্থানীয় কারণের মধ্যে ২টিই ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রসংক্রান্ত জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর বিশ্বে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপান ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের প্রধান কারণ। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), যক্ষ্মা ও অ্যাজমা।

আগামীকাল শুক্রবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্র জটিলতার সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক বিষয়ে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ব্যাপক পরিসরে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তামাক ও ফুসফুসের স্বাস্থ্য’।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় তামাক ব্যবহারের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ, যা একই সঙ্গে তামাক ব্যবহারজনিত মোট মৃত্যুর ২৮ শতাংশের জন্য দায়ী।

বাংলাদেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী পাওয়ার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে প্রজ্ঞা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের হেলথ বুলেটিনের তথ্য দিয়ে বলে, ২০১৭ সালে শিশু যক্ষ্মা রোগীর হার বেড়ে ৪ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশে তামাক পণ্যের দাম অত্যন্ত কম। ফলে দেশের তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব সহজেই তামাক ব্যবহার শুরু করতে পারে। আসন্ন বাজেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের দাম জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তিনি তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানান।