বাউফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস, স্বাস্থ্য সহকারীর কারাদণ্ড

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক স্বাস্থ্য সহকারীর এক মাসের কারাদণ্ড। ছবি: প্রথম আলো।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক স্বাস্থ্য সহকারীর এক মাসের কারাদণ্ড। ছবি: প্রথম আলো।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য সহকারী মো. শহিদুল ইসলামের (৩৫) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় শহিদুলের সঙ্গে থাকা একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।

শহিদুল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভ্রা দাস।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত মুঠোফোন যাচাই করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শহিদুলের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা বলে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি অনেক টাকা নিয়েছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে শহিদুলকে আটক করা হয় এবং পরে তাঁর মুঠোফোন জব্দ করে সত্যতা পাওয়া যায়।

বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চক্রান্তে জড়িত শহিদুল। এমন অসংখ্য প্রমাণ তাঁর (শহিদুল) মুঠোফোনে রয়েছে। এমনকি টাকা লেনদেনেরও প্রমাণ রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে।’

আদালতের নির্দেশে শহিদুলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মাকসুদুর।