বাংলাদেশের দুটি উদ্যাপনের সঙ্গে থাকতে চায় ভারত

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের সঙ্গে থাকতে চায় ভারত। এ দুটি উদ্‌যাপন বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে করার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আবদুল হামিদকে বলেন, ‘বহু পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে দিল্লির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। কাজেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়। এটা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

দীর্ঘস্থায়ী ও দ্বিপক্ষীয় ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেন, ভারত এবং এ দেশের জনগণ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হামিদ মোদিকে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছে। ভারতও অমীমাংসিত বিষয়টির সমাধান চায় উল্লেখ করে মোদি যৌথ নদী কমিশনের কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারত্ব বিকশিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ সম্পর্ক জোরদার ও সমৃদ্ধ হয়েছে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের কারণে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে বুধবার নয়াদিল্লি পৌঁছান।