আমাদের আচরণে যাতে কেউ বিরক্ত না হয়: হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সংবর্ধনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সংবর্ধনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। মানুষ যাতে আমাদের দলকে আবারও ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, সে জন্য যুবলীগকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। আমাদের আচরণে যাতে কেউ বিরক্ত না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।’ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সংবর্ধনা, ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যঘাটতির নয়, বরং খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। এ বছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টন খাদ্য রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। এরপর যখন বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে তখন আবার খাদ্যঘাটতির দেশে রূপান্তরিত হয়।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্নির্মাণ করার ক্ষেত্রে এবং দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যুবলীগ ভ্যানগার্ডের মতো বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছে। আজ বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে বাংলাদেশ বহু আগে দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত দেশে রূপান্তর হতো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি আমরা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অতিক্রম করতে পেরেছি মাত্র।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহর-গ্রামনির্বিশেষে সমগ্র দেশ বদলে গেছে। এখন দেশের কোথাও ছেঁড়া কাপড় পরা ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। গ্রামের কোথাও কুঁড়েঘর দেখা যায় না। গ্রামের মেঠো পথগুলো এখন পিচঢালাই পথে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশ বদলে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা উন্নত জাতিও গঠন করতে চাই। সে জন্য যুবলীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য অপরিসীম। কারণ যুবকেরাই দেশের ভবিষ্যৎ, দেশ বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূলশক্তি যুবসমাজেরই।’

মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।