মঞ্জুর হত্যা: অধিকতর তদন্তের শেষ কবে কেউ জানে না

আবুল মঞ্জুর
আবুল মঞ্জুর

মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলাটি পাঁচ বছর ধরে আটকে আছে অধিকতর তদন্তের গ্যাঁড়াকলে। ‘এরশাদকে বশীকরণ’ মামলা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মামলাটির অধিকতর তদন্ত কবে শেষ হবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ।

১৯ বছর মামলা চলার পর ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। কিন্তু তার কয়েক দিন আগে ওই আদালতের বিচারক পরিবর্তন করা হয়। নতুন বিচারক নির্ধারিত তারিখে রায় না দিয়ে নতুন করে যুক্তিতর্ক পেশ করা জন্য ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এরপর গত পাঁচ বছরে তদন্ত সংস্থা সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ২০ দফা সময় নিয়েছে। আগামী ২৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য আছে।

এত দিন মামলাটির অধিকতর তদন্ত করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি এখন আর তাঁর কাছে নেই। এখন তদন্ত করবেন চট্টগ্রামের সিআইডি। তদন্ত কত দূর এগিয়েছে তারা বলতে পারবে।

তবে চট্টগ্রামের সিআইডি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তিনি এখনো দায়িত্ব বুঝে পাননি।

>

মঞ্জুর হত্যার ৩৮ বছর
পাঁচ বছরে সিআইডি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ২০ দফা সময় নিয়েছে
২৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য আছে

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মঞ্জুরকে ১৯৮১ সালের ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে হত্যা করা হয়। এর এক দিন আগে ৩০ মে চট্টগ্রামে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর মঞ্জুরসহ আরও বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনা বিদ্রোহের অভিযোগ এনে সামরিক আদালতে বিচার করা হয়। কিন্তু জিয়া ও মঞ্জুর হত্যার বিচার করা হয়নি।

১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ জুন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তাতে বলা হয়, ১৯৮১ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। অভিযোগপত্রে এরশাদসহ পাঁচজন সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।