টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধ', নিহত ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. আবদুল গফুর (৪০) ও মো. সাদেক (২৩) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, নিহত দুজন মাদক পাচারকারী ও মাদকের ব্যবসায়ী।

নিহত দুজনের মধ্যে গফুর মিয়ানমারের মংডু শহরের রাম্বীবিলের নাকপুরার বাসিন্দা। তিনি থাকতেন টেকনাফের জাদিমোরা শরণার্থীশিবিরে। আর সাদেক উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনয়নের কেরুনতলির বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ পৌরসভার নাফ নদী সংলগ্ন কে কে খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় টেকনাফ ২ বিজিবির সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
বিজিবির দাবি, নিহত ব্যক্তিদের কাছে কাছ থেকে ১ লাখ ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি লম্বা কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান নাফনদীর কে কে খাল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হবে এমন তথ্য পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যায়। এ সময় কয়েকজন লোক হস্তচালিত কাঠের নৌকা দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কে কে খাল এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে কাদায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। ওই দুজনের শরীরে গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় ৫০ হাজার পিস করে ১ লাখ ইয়াবা বড়ি ও দেশীয় তৈরি দুটি লোহার লম্বা কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গুলিবিদ্ধ লাশ দুটি উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসমাইল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের আনার আগে দুজনের মৃত্যু হয়। মো. আবদুল গফুরের শরীরে সাতটি ও মো. সাদেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ দুটি লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ১০৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এক রোহিঙ্গা নারীসহ ২২ রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফে ৬৬ ও উখিয়ায় দুজন নিহত হন।