কসবায় ৫ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড সব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে আজ শনিবার ভোরে ৫ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে অনেক গাছ-পালা। বিদ্যুতের ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় হয়। ঘূর্ণিঝড়টির স্থায়ীত্বকাল ছিল মাত্র ৫ মিনিট। এতে কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ৩০টি, গোবিন্দপুর গ্রামের ৫টি এবং কালতা গ্রামের ১৫টি বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গাছ কেটে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করা হচ্ছে।

কামালপুর গ্রামের স্বপন ভূঁইয়া বলেন, ‘মাত্র ৫ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ঘরটি পড়ে গেছে। ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে খাটের নিচে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছি।’

কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কসবা উপ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক তার ছিঁড়ে গেছে, ভেঙে গেছে তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। প্রধান লাইন চালু করা হলেও শাখা লাইনগুলো বন্ধ আছে।