তাঁর সন্তান প্রসব এবং...

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পুলিশের তৎপরতার কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ও তাঁর নবজাতক সন্তান রক্ষা পেল। ঘটনাটি গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বহুলী গ্রামের।

ওই গ্রামের সোহাগ মিয়ার বাড়ির বারান্দায় ওই নারী সন্তান জন্ম দেন। সোহাগের বোন তাসলিমা আক্তার, পুলিশ, ভালুকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল জুম্মার নামাজের পর উপজেলার বহুলী গ্রামের সোহাগের বাড়ির বাইরের দিকের বারান্দায় ২০ বছরের এক নারী প্রসব ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন। বিষয়টি তাসলিমার মা বিলকিছ বেগম টের পান। কিছুক্ষণ পর ওই নারী এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ওই নারীর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। পরে ঘটনাটি তাসলিমা মোবাইল ফোনে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলামকে জানান।

মাজহারুল ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চান। কিন্তু সেটি পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ভালুকার ইউএনওকে জানানো হয়। রাত ১০টার দিকে তাসলিমা আবার পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে জানান, ওই নারীর অনেক রক্তক্ষরণ হচ্ছে। নবজাতকও তেমন নড়াচড়া করছে না। সঙ্গে সঙ্গে মাজহার একটি গাড়ি ভাড়া করে রাত ১২টার দিকে নবজাতক ও মাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই খবর পেয়ে রাতেই ছুটে যান ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন। পরে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওই নারী ও নবজাতক সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসাসহ সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করার কথা জানান ওসি মাইন উদ্দিন।